পরিচিতি
প্রতিষ্ঠাঃ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ যখন স্বৈরাচারের যাতাকলে পিষ্ট তখন কে এম নাসিরউদ্দিনের উদ্যোগে বেশ কিছু উদ্যমী মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন তরুণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ১৯৮৮ সালের ১১ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী ভাস্কর্য ‘অপরাজেয় বাংলা’ এর পাদদেশে স্রোত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে। সংক্ষিপ্ত আকারে সংগঠনটি ‘স্রোত’ নামে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে পরিচিতি পায়। ‘সংস্কৃতির দর্পণে জীবন বিম্বিত’ এ আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করিয়া ‘স্রোত’ সংস্কৃতির বিভিন্ন অংশে পদচারণার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করিলেও পরবর্তীকালে শুধুমাত্র নিয়মিত আবৃত্তি চর্চার দ্বারা পুরোপুরি আবৃত্তি সংগঠনে পরিণত হয়। সংগঠনের চতুর্থ কাউন্সিলে এবং গঠনতন্ত্রের প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে ১৯৯২ সালে সংগঠনটি ‘স্রোত আবৃত্তি সংসদ’ নামে রূপান্তরিত হয়।
নামঃ শিল্প ও সাহিত্য মানব জীবনের ঐতিহ্যের ধারক-বাহক এবং পথ নির্দেশকের কাজ করে। যেহেতু আবৃত্তি একটি পরিপূর্ণ শিল্প মাধ্যম এবং এই সংগঠন আবৃত্তি শিল্পে নিয়মিত চর্চার ও উৎকর্ষতায় নিবেদিত তাই এ সংগঠনের নাম হইবে ‘স্রোত আবৃত্তি সংসদ’। সংক্ষিপ্ত নাম, ‘স্রোত’ হইবে ইহার পরিচিতি।
কার্যালয়ঃ সংগঠনের কার্যালয় ঢাকা শহরে অবস্থিত হইবে। বর্তমানে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয় হইবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র।
প্রতীকঃ সংগঠনের ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর লোগোটিই স্রোতের প্রতীক হিসেবে গণ্য হইবে। প্রতীকের রং হইবে কমলা।
পতাকাঃ সাদা পটভূমিতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অনুপাত (১০ঃ৬) অনুযায়ী সংগঠনের প্রতিকটি প্রদর্শিত হইবে।